[ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক রেজাউল রেজওয়ান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাপ্তাহিক বিক্রমপুর সংবাদ এর সাহিত্য সম্পাদক মো: জিয়াউর রহমান]
বি: সংবাদ: লেখালেখিতে প্রবেশ কবে থেকে?
রেজাউল রেজওয়ান: ১৯৮৬ সালে, তখন কে. কে.গভ.ইনস্টিটিউশনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। স্কুলের এস.এস.সি. পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও স্কুলে হাতে লেখা দেয়ালিকায় আমার লেখা থাকত।
বি: সংবাদ: বর্তমানে কী ধরনের লেখায় মনোযোগী?
রেজাউল রেজওয়ান: বর্তমানে আমি ছড়া, ছোট গল্প ও প্রবন্ধ লেখা নিয়ে বেশি কাজ করছি। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে এই বিভাগগুলোতেই বেশি লিখছি। পরবর্তীতে কবিতা নিয়ে ব্যস্ত হবো।
বি: সংবাদ: লেখালেখিতে মান উন্নয়নে আপনার পরামর্শ কী?
রেজাউল রেজওয়ান: বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা ভালো মানের বইগুলো বেশি বেশি পড়া। বাংলা বানান, ব্যাকরণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। কবিতা ও ছড়া লেখার ক্ষেত্রে ছন্দ-মাত্রার জ্ঞান থাকতে হবে।
বি: সংবাদ: আপনার নিজের লেখা কতটি বই রয়েছে?
রেজাউল রেজওয়ান: একক গ্রন্থ ২টি। অনুবাদ গ্রন্থ ‘শার্লক হোমস’, ছোট গল্পের বই ‘সেদিন ছিল ঈদ’, যৌথ গ্রন্থ ৬টি। সবগুলোই বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল।
বি: সংবাদ: আগামী বইমেলায় আপনার কোন বই আসছে কি?
রেজাউল রেজওয়ান: ‘রাজার পাঠশালা’ নামে একটি ছোট গল্পের বই প্রকাশিত হবে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত গল্পগুলো নিয়ে প্রকাশিত এই বইটি সর্বশ্রেণির পাঠকের কাছেই পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশাবাদী।
বি: সংবাদ: লেখালেখিতে আপনার দীর্ঘ বিরতির কারণ কী?
রেজাউল রেজওয়ান: পেশাগত কারণে ইচ্ছে করেই দীর্ঘ বিরতি দিয়েছি। এখন আর বিরতির সম্ভাবনা নেই, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেখালেখি চলবে।
বি: সংবাদ: আপনার লেখাপড়া নিয়ে কিছু বলবেন কী?
রেজাউল রেজওয়ান: আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম এবং ঢাকা কলেজ থেকে এম.কম (ব্যবস্থাপনা) সম্পন্ন করি।
বি: সংবাদ: লেখালেখি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন সাংগঠনিক দায়িত্বে আছেন কী?
রেজাউল রেজওয়ান: আমি বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলার স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও নান্দনিক সাহিত্য পত্রিকা ‘চন্দ্রছাপ’ এর সহযোগী সম্পাদক, সম্পাদনা পরিষদ প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলা লেখক ফোরাম এর সহ-সভাপতির দায়িতে¦ রয়েছি।
বি: সংবাদ: বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি, আপনি প্রচুর ছড়া লিখছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?
রেজাউল রেজওয়ান: ঠিকই বলেছেন। প্রচুর ছড়া লিখছি। জাতীয় দৈনিকগুলোতেও নিয়মিত প্রকাশিতও হচ্ছে। আসলে আমি কবিতার ছন্দ ও মাত্রা নিয়ে পড়াশোনা করার সময় লক্ষ্য করলাম, খুব অল্প সময়ে আমি ভালো মানের ছড়া লিখতে পারছি এবং পত্রিকাগুলোও তা প্রকাশ করছে। সে থেকেই ছড়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় ছড়াকার হওয়ার লক্ষ্যে চেষ্টা করছি। তবে আগামীতে কবিতার দিকেও মনোযোগী হবো এবং ছোট গল্প লেখাও চলবে। পরবর্তীতে উপন্যাস লেখারও পরিকল্পনা রয়েছে।
বি: সংবাদ: আমরা সবসময় আপনার সাফল্য কামনা করি। মুন্সীগঞ্জের লেখক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে আপনার পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা দিনে দিনে আরও শিখরে জায়গা করে নিন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রেজাউল রেজওয়ান: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও বিক্রমপুর সংবাদের সকল পাঠকদের জন্য রইল শুভকামনা।