নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এএফএম আরিফউজ্জামান দিদার। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে তার সমর্থকরা দাবি করছেন। তার সমর্থকদের দাবি আসন্ন এ আসনে তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ নিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ও গজারিয়া উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এএফএম আরিফউজ্জামান দিদার আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী হলে অবহেলিত গজারিয়া উপজেলার ফুলদি নদীতে সেতু ও মুন্সীগঞ্জ সদরের সাথে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারিতে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে জাতীয় ছাত্রসমাজ মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগংগা কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে এএফএম আরিফউজ্জামান দিদার এখানে রাজনীতিতে পদচারণা শুরু করেন। এর মাধ্যমে তার জীবনে রাজনীতির অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে এ ঘরনার রাজনীতি তার জীবনে প্রবহমান রয়েছে। ১৯৮৬-১৯৮৭ সালের সরকারি হরগংগা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বপন-আজিম-দিদার পরিষদে এজিএস পদে এএফএম আরিফউজ্জামান দিদার প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এ কারণে সেই সময়ে তাকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯৮৮ সালের দিকে তিনি জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি পল্লীবন্ধু এরশাদের মুক্তি আন্দোলনে জেলাব্যাপি স্বেচ্ছাকারাবরণ, অনশন, প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ২০১২ সালে জাতীয় যুব সংহতি জেলা সম্মেলনে সিনিয়র সহ সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় যুব সংহতির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির কর্মসূচিতে জেলা ব্যাপি সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করেন। সেই সময়ে তিনি নির্বাচনের লক্ষ্যে এ আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সেই সময়টাতে তাকে দল মনোনয়ন দেয়নি। তবে তিনি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে দলের বিরুদ্ধে যাননি। ২০২৩ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে নির্বাচনে আবারো দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। কিন্তু এবারো তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। ব্যাপক প্রচার প্রচারণা থাকা সত্বেও। তবুও তিনি দলের পক্ষে ছিলেন। ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে তিনি জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। এরপর তিনি তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টির কমিটি করার জন্য জেলা ব্যাপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। জেলা পর্যায়ে জাতীয় পার্টিতে যে বিভেদ ছিল তা তার দায়িত্ব নেয়ার পরে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর রাজনীতিতে পথ চলাতে সকলে আস্থা প্রকাশ করেছেন।