মোহাম্মদ সেলিম
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় রামপাল ইউনিয়নের রামপাল কলেজের সামনে থেকে হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সাব্বির হোসেন দীপু নামের এক যুবককে একটি রিভালবারসহ গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তাকে গ্রেফতারের সময় অপর ২জন তার সহযোগি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যারা পাািলয়ে গেছে তারা হচ্ছেন মুকুল (৩৩) ও শাহাদাত হোসেন (৩৪)। দীপু হচ্ছে হাজী আবুল কালাম তালুকদারের পুত্র। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের চরছটফটিয়া গ্রামে তার আদি বাড়ি। তবে সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার মাসদাইর এলাকায় বসবাস করে। ঘটনার সময়ে তাকে স্থানীয়রা গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যায়।
জানা যায়, ২৯ জুন দুপুর তিনটা ৫মিনিটের সময় রামপাল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার সময় কলেজের সামনের রাস্তায় একটি প্রাইভেটকার যার রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৭২০৮ এর সাথে একটি অটো রিকশার ধাক্কা লাগে। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা আসামি দীপু প্রাইভেট কার থেকে নেমে নিজের কোমর থেকে রিভালবার বের করে প্রদর্শন করে। হাতিমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ডিউটিরত পুলিশের টিম তাকে তাৎক্ষণিক আটক করার চেষ্টাকালে আসামি পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার কালে ধস্তা ধস্তিতে ও আসামির রিভলবারের আঘাতে তিনজন পুলিশ সদস্য এসআই এমদাদ হোসেন, কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল সাজেদুল আহত হয়। এসময় আহত পুলিশ আসামিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটক করে। উপস্থিত ছাত্র জনতা ধৃত আসামিকে মারধর করাসহ প্রাইভেটকারটি ভাঙ্গচুর করে।