মুন্সীগঞ্জে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা

মোহাম্মদ সেলিম:
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালি ইউনিয়নের দক্ষিণ কেওয়ার সাতানিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাশিদা আক্তারকে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। একই দিন পৃথক ব্যানারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ পোষাক সু বিতরণ করা হয়। শনিবার ১২জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি ইসমাইল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক শামীমা খায়ের। মানপত্র পাঠ করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী গাজী রিয়াল। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বক্তব্য রাখেন শহিদুল ইসলাম, আলী আহম্মেদ ও আইনুল। অনুষ্ঠানে চাকুরি জীবনের স্মৃতিচারণ করেন বিদায় সংবর্ধনা নিতে আসা শিক্ষক রাশিদা আক্তার। এ অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী জুয়েল দেওয়ান। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাইদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, শাহ আলম, সোহেল সিকদার, সুমন বেপারি, সুমন সিকদার, মো: উজ্জ্বল হালদার, আকবর হালদার, রাসেল, মিনহাজ হালদার, আনিস মোল্লা, শুভন বেপারি ও আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১ থেকে ৩ পর্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। যারা উপহার পেয়েছেন তারা হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণির আমেনা আক্তার, মাইমুনাহ রাইসা ও আফসানা মিমি। চতুর্থ শ্রেণির তাবিয়া ইসলাম, রাফা জাহান ও মুসফিকা রহমান। পঞ্চম শ্রেণির জান্নাতুল ফেরদৌস মাশফিহা, কারিমা ও মো: সোহেল হোসেন। এছাড়া এ বিদ্যালয়ের ২০জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব সামগ্রীর স্পনসরদাতা হচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার এম এ রউফ (রুবেল)। তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। রাশিদা আক্তার এ বিদালয়ে ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করলেন চব্বিশ সালের ১৮ এপ্রিল। তার পিতাও শিক্ষক ছিলেন। তার ৪ বোন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তারমধ্যে তিনিসহ অপর এক বোন অবসরে গেছেন। তার ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারমধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যজন ডাক্তার। তার বউমাও ডাক্তার। তার দুই ছেলে মা’র সাথে এ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। মা’র এ অনুষ্ঠানে এক ছেলে ও তার বাবা কৃষি ব্যাংকের অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *